বাঙালির কর্তৃত্ব তলানিতে, কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসলেন আরেক গান্ধী..


নেহেরু-গান্ধী পরিবারের ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি হন। সোনিয়া গান্ধী প্রায় ১৯ বছর কংগ্রেসের সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পর ছেলে রাহুলের হাতে তুলে দিলেন তাঁর দলের দায়িত্ব। রাহুল গান্ধীকে আর প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামতেই হলো না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমে মনসনদের দখল নিয়ে বসে আছেন রাজীবতনয়। তবে এই কংগ্রেস নেহেরু-গান্ধী পরিবারের হাতে তৈরি হয়নি। কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল প্রাচীন শতাব্দী কালে একজন বাঙালি সভাপতির হাতে। কংগ্রেসের প্রথম সভাপতির নাম ছিল উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ১৮৮৫ সালে মুম্বাইয়ে এবং ১৮৯২ সালে এলাহাবাদ দলের সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। তাঁর পরে আনন্দমোহন বোস, রমেশচন্দ্র দত্ত, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাসবিহারী ঘোষ, আম্বিকাচরণ মজুমদার কংগ্রেস সভাপতির পদ আলোড়িত করে রেখেছিলেন।

নেহেরু-গান্ধী যুগের সূচনা হয় ১৯১৯ সালে মোতিলাল নেহেরুর সভাপতিত্বে। এনার পর সভাপতি হন জওহরলাল নেহেরু। তিনি ১৯২৯-১৯৩৭ সাল পর্যন্ত সভাপতির পদে ছিলেন। তাঁর পর প্রথম সভানেত্রী রুপে আসেন নেহেরু কন্যা ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ৬ বছর সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর পর ইন্দিরা পুত্র রাজীব গান্ধী কংগ্রেসের মাথায় চড়ে বসেন। সনিয়া গান্ধী ১৯৯৮-২০১৭ সাল পর্যন্ত নিজের হাতে রেখেছিলেন কংগ্রেস কম্যান্ড। এবার তাঁর ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসলেন তাঁরই পুত্র যুবরাজ রাহুল।বাঙালিরা শুরুর দিকে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও তা ধরে রাখতে পারেনি। ইতিহাসবিদদের মতে, কংগ্রেসে জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। ওই সময় বিজেপি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে নিয়ে মাঠে নেমে ছিল। যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি।

cource

Comments

Popular posts from this blog

যদি আমি ভারতে থাকতাম, তাহলে নোবেল পুরস্কার পেতাম না! বললেন নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জী

Man Of The Year 2017 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলেন, দেখুন ভিডিও..

ফিরহাদ হাকিম করলেন দেশের অপমান! POK ও অক্সাই চীনকে বাদ দেওয়া ভারতের মানচিত্রকে করলেন প্রমোট